1. smsitservice007gmail.com : admin :
সমিতির নামে বিল ইজারা নিয়ে অভয় গং এর লুটপাট  - সতেজ বার্তা ২৪
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলা দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও শিব লিঙ্গ বিক্রির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের ডিগবাজি না’কি বিদ্রোহ? সাভারে মাদকের সয়লব , এক নজরে মাদক গ্যাং রাজশাহী আওয়ামী  প্রকাশ্যে বিভক্তির আভাস দায়ী কে ? তানোরে ৩টি পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুন মেধাবী যুবনেতা সাইফুল ইসলাম শাকিল তানোরে প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে দানিয়াল নামের এক যুবককে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা..! তানোরে দোকানের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা

সমিতির নামে বিল ইজারা নিয়ে অভয় গং এর লুটপাট 

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৫ বার পঠিত

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী ঘাঁষিগ্রাম ইউনিয়নে (ইউপি) ডুবি ও মেইল নামে দুটি উন্মুক্ত বিল রয়েছে। কিন্ত্ত ভুয়া তথ্য দিয়ে ডুবির বিল ও বিল মেইল সমিতির নামে ইজারা নিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ২০ একরের উর্ধ্বে সরকারি বদ্ধ জলাশয় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয় থেকে মৎস্যজীবী সমিতির কাছে ইজারা দেয়া হয়। কিন্ত্ত ডুবি ও মেইল বিলের জলাশয়ের আয়তন ২০ একরের উর্ধ্বে নয়। সেই বিবেচনায় এই দুটি বিল উন্মুক্ত থাকার কথা। এমনকি ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিল দুটি উন্মুক্ত ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, ডুবির বিলের আয়তন প্রায় ৬৬.৫ হেক্টর, জলাশয় ০৫ হেক্টর, সেখানে রেনু পোনা ছাড়া হয় ০১ কেজি, উপকারভোগীর সংখ্যা ২২০ জন। কিন্ত্ত
দল নেতার নাম গোপণ ও সাধারণ সদস্যদের বঞ্চিত করে মেলান্দী গ্রামের বিশ্বনাথ হালদারের পুত্র অভয় হালদার গং বিগত ১০ বছর যাবত বিল থেকে আয়ের কোটি কোটি লুটপাট করেছে।
অন্যদিকে মেইল বিলের আয়তন প্রায় ২০০ হেক্টর, জলাশয় ০.৫ হেক্টর, রেনু পোনা ছাড়া হয় ০১ কেজি, উপকার ভোগীর সংখ্যা ৩০০ জন, দল নেতা অনিল কুমার। কিন্ত্ত অভয় গং এখানেও সমিতির সদস্যদের বঞ্চিত করে বিল থেকে আয়ের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতে বিল নার্সারির জন্য ডুবির বিল ও মেইল বিল ইজারা দেয়া হয়। সমিতির মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র মৎস্যজীবীরা বিল দুটি ইজারা নিয়েছেন। বঞ্চিত মৎস্যজীবীরা বলেন, মৎস্যজীবী সমিতির মাধ্যমে এই দুটি বিল ইজারা নেয়া হয়। কিন্ত্ত স্থানীয় সাংসদের নাম ভাঙিয়ে মেলান্দী গ্রামের বিশ্বনাথ হালদারের পুত্র অভয় কুমার গং  মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে নিজেরা ভোগদখল করছে। বিগত ১০ বছর যাবত সমিতির  উপকারভোগী মৎস্যজীবীদের বঞ্চিত করে তারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এদিকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কৃষকের শত শত বিঘা ফসলী জমি পানিতে ডুবে যায়। কিন্ত্ত তারা বিলের পানি বের করতে না দেয়ায় ফসলহানি ঘটে। আর পুরো বিলে তারা মাছ চাষ করে। মৎস্যজীবীদের দাবি বিল দুটি উন্মুক্ত করা হলে এলাকার শত শত হতদরিদ্র মৎস্যজীবীরা ৬ মাস বিলে মাছ আহরণ ও ৬ মাস বিলপাড়ে জেগে উঠা জমিতে চাষাবাদ করে জীবীকা নির্বাহ করতে পারতেন। স্থানীয়রা এসব দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এবিষয়ে মেলান্দী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি অভয় কুমার হালদার জানান, বিগত ২০১৫ সালে মন্ত্রণালয় থেকে সমিতির নামে লীজ নেয়া হয়। প্রতি বছর লীজ নবায়ন করতে হয়, এমপি ছাড়া লীজ নেয়া যেতো না। তিনি বলেন, বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন এমপি প্রয়াত মেরাজ মোল্লার লোকজন লীজ নিয়েছিলেন। অনেক কষ্ট করার পর সমিতির নামে লীজ হয় সমিতির সদস্য সংখ্যা ৭২ জন। প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। কত টাকায় লীজ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান এসব জেনে কি লাভ। সমিতির নাম করে আপনারা কয়েকজন মাছ চাষ করছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। এদিকে সমিতির সাধারণ সদস্যরা জানান, সমিতির নামে কিভাবে লীজ নেই আমরা কিছুই জানি না।  অভয় বলেছে, আমরা লীজ নিয়েছি, আমরাই চাষ করছি। এখানে সমিতির কোন যোগ নেই। অভয় সমিতির সভাপতি তার উপরে আমরা কথা বলতে পারি না। কেউ প্রতিবাদ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। এজন্য তার ভয়ে সমিতির সদস্যরা কেউ কিছু বলে না। তাছাড়া কোন দিন বিলের মাছ বিক্রি লাভের অংশও কেউ দেখতে পায় না। বিল চাষ করে ভাগ্য বদল হয়েছে অভয়সহ কয়েকজনের। সমিতির কোনো  লাভ হয়নি।
অথচ এসব বিলের পাশঘেঁষে তানোর  সীমানায় বিল কুমারি বিল রয়েছে। এই বিল কখনো লীজ হয় না। এই বিলে শতশত মৎস্যজীবি পরিবার মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বিলে সরকারি খাস সম্পত্তি  পর্যাপ্ত রয়েছে, তারপরও এই বিল উন্মুক্ত রয়েছে। তাহলে কি বিবেচনায় ডুবির বিল ও মেইল বিল ইজারা দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০ একরের ঊর্ধ্বে হলে জেলা থেকে লীজ হয়। এটা জেলার কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  আনিসুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাগজপত্র দেখার পর বলা যাবে
এ জাতীয় আরও খবর
Translate »