এ ঘটনায় রোববার (৪ জুন) পাটগ্রাম থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- একাব্বর আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (২০) সিরাজুলের ভাতিজা সাজু মিয়াকে(২৭) ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ভাতিজাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সিরাজুরের স্ত্রী মনোয়ারাও আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাটগ্রাম পৌরসভার মির্জারকোর্ট এলাকার সিরাজুল ইসলাম গংদের সঙ্গে একই এলাকার একাব্বর আলী গংদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। যা নিয়ে আদালতেও একাধিক মামলা বিচারাধীন। স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় বৈঠক হলেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত বিবাদ নিয়ে শনিবার রাতে সাবেক কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান লেলিন, হাজি লোকমানসহ স্থানীয়রা একটি বৈঠকে বসেন। উভয় পক্ষের শুনানীর সময় বিতর্ক সৃষ্ঠি হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে একাব্বর আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিনকে প্রধান করে ৯ জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সালিশ বৈঠকে থাকা হাজি লোকমান বলেন, তাদের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্ব নিরসন করতে বৈঠকে বসেছিলাম। শুনানীর সময় বিতর্ক বাঁধলে একাব্বর আলীর লোকজন সিরাজুলের লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।