1. smsitservice007gmail.com : admin :
তানোরে তহসিলদার রবিউলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ  - সতেজ বার্তা ২৪
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও শিব লিঙ্গ বিক্রির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের ডিগবাজি না’কি বিদ্রোহ? সাভারে মাদকের সয়লব , এক নজরে মাদক গ্যাং রাজশাহী আওয়ামী  প্রকাশ্যে বিভক্তির আভাস দায়ী কে ? তানোরে ৩টি পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুন মেধাবী যুবনেতা সাইফুল ইসলাম শাকিল তানোরে প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে দানিয়াল নামের এক যুবককে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা..! তানোরে দোকানের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা ২০ বছর পাড় হয়নি ধর্ষন, মাদক সহ ২৪টি মামার আসামি ইয়াবা সুন্দরীর ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার তানভীরের.

তানোরে তহসিলদার রবিউলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১২৮ বার পঠিত

 

 

রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা ইউনিয়ন (ইউপি) ভূমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার রবিউল ইসলামের ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। রবিউল ইসলাম আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে একজনের নামের জমি অন্যজনের নামে খারিজ (নামজারি) করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর রবিবার তানোর পৌরসভার গুবিরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মৃত আবদুল জব্বারের পুত্র আবদুল জলিল বাদী হয়ে তহসিলদার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তহসিলদারকে জবাব দিতে বলা হয়। এবং  ৬ নভেম্বর শুনানীর জন্য উভয় পক্ষকে  নোটিশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভুমি আবিদা সিফাত।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের  বাধাঁইড় ইউনিয়নের (ইউপি)  হাঁপানিয়া মৌজায়  গুবিরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মৃত আবদুল জব্বারের পুত্র আবদুল জলিল দ্বিগরের ৪ একর ৮৯ শতক জমি রয়েছে। তফসিল বর্ণিত আরএস ৪ নম্বর খতিয়ানের রেকর্ড আবদুল জববার নামে সাতআনা চৌদ্দগন্ডা অংশ প্রচলিত। ওই আবদুল জববারের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ আবদুল জলিল দিগর বাংলা ১৪২৯ সাল পর্যন্ত ওই খতিয়ানের আংশিক ১.৩৭১৬ একর সম্পত্তির খাজনা চলতি ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত  পরিশোধ করেন। যার আরএস খতিয়ান নম্বর ৪ ও হোল্ডিং নম্বর ৪। ভুক্তভোগী আবদুল জলিল বলেন, বর্তমানে ১৪৩০ বাংলা সাল পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় খাজনা পরিশোধে সম্প্রতি ২৯ অক্টোবর তহসিল অফিসে গেলে তহসিলদার রবিউল ইসলাম জানান তার ওই হোল্ডিং-এ কোন জমি নেই। বিগত ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারী আবদুস সামাদের নামে খারিজ খাজনা হয়ে গেছে। এতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। অভিযোগে তিনি জানান, তহসিলদার মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তার সম্পত্তি অন্যের নামে খারিজ খাজনা করে দিয়েছেন। আব্দুল জব্বারের পুত্র আবদুল জলিল দিগরের সম্পত্তি অন্যের নামে কিভাবে খারিজ খাজনা হয় জানতে চাইলে তহসিলদার রবিউল ইসলাম বলেন, তার হোল্ডিংয়ের সম্পূর্ণ সম্পত্তি ৯০ নম্বর হোল্ডিংয়ে আবদুস সামাদের নামে স্থানান্তর করা হয়েছে। যার প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ৮৯। নামজারি কেস নম্বর ৬১২/৯৬-৯৭। তারিখ ৫ জানুয়ারী ১৯৯৬ খ্রি:। তাহলে চলতি ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী আবদুল জববারের পুত্র ও তার ওয়ারিশ আবদুল জলিল দিগরের মাধ্যমে খাজনা নেয়া হয়েছে কেন ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মিসকেসের মাধ্যমে ওই সম্পত্তি তার পিতার হোল্ডিংয়ে ফেরৎ পেতে পারে বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
অভিযোগের আলোকে কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই সময়ে অর্থাৎ চলতি ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী চেক বা দাখিলা কাটা বাবদ তহসিলদার রবিউল ইসলাম ১৪ হাজার টাকা নেন। কিন্তু একটি দাখিলা বা চেকে ৮৩৬৪ টাকা। আরেকটি চেকে মাত্র ২৯৪ টাকা লিখে দেন। আবার একই দিনে ওই দুটি চেক কাটা হয়। অথচ ওই দুই চেকে তারিখ আলাদা দেন তিনি। এভাবে নামজারি (খারিজ), খাজনা, মিসকেস ও সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ঘুষ দিতে হয় ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কম্পিউটার অপারেটরদের। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সিফাত বলেন, আবদুল জলিলের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত মুন্ডুমালা তহসিলদার রবিউল ইসলামকে জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়াও আগামী ৬ নভেম্বর শুনানীর জন্য উভয়কে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মুহাঃ বিল্লাল হোসেনের সরকারি মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি।

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »