1. smsitservice007gmail.com : admin :
তানোর উপজেলা ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যে  - সতেজ বার্তা ২৪
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও শিব লিঙ্গ বিক্রির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের ডিগবাজি না’কি বিদ্রোহ? সাভারে মাদকের সয়লব , এক নজরে মাদক গ্যাং রাজশাহী আওয়ামী  প্রকাশ্যে বিভক্তির আভাস দায়ী কে ? তানোরে ৩টি পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুন মেধাবী যুবনেতা সাইফুল ইসলাম শাকিল তানোরে প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে দানিয়াল নামের এক যুবককে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা..! তানোরে দোকানের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা ২০ বছর পাড় হয়নি ধর্ষন, মাদক সহ ২৪টি মামার আসামি ইয়াবা সুন্দরীর ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার তানভীরের.

তানোর উপজেলা ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যে 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫২ বার পঠিত

রাজশাহীর তানোর উপজেলা ও ইউনিয়ন (ইউপি) ভূমি অফিসগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্যে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি বেড়েছে। কেউ মানবাধিকার কর্মী, কেউ গণমাধ্যম কর্মী, কেউ নাগরিক সমাজ আবার কেউ সচেতন মহলের প্রতিনিধি ইত্যাদি লেবাসে দালালি করে খারিজ ও মিসকেস ফাইল পার করা হচ্ছে। এসব দালালদের কারণে অনেক সময় কর্মকর্তাদেরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। উপজেলা ভুমি কিছু কর্মচারির সঙ্গে দালালদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। অফিসে কোনো সেবপ্রার্থী আশামাত্র কৌশলে তারা তাদের অনুগত দালালদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এসব দালালদের মাধ্যমে দরদাম করে সেবাপ্রার্থীদের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা হচ্ছে। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ বিল্লাল হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবিদা সিফাত তারা যোগদানের পর হয়রানিমুক্ত ভুমি সেবা প্রদানে তাদের সদিচ্ছা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্ত্ত দালালদের তৎপরতায় তাদের প্রশংসায় কালিমালিপ্ত করছে। এসব দালালদের প্রতিহত করা এখন সময়ের দাবি পরিনত হয়েছে। একজন ব্যক্তির কাজ ভুমি অফিসে থাকতেই পারে।কিন্ত্ত একজন ব্যক্তির কাছে যখন একাধিক খারিজ ও মিস কেস ফাইলের তদ্বির থাকে তখনই তাকে দালাল বলে। এদিকে গত ১ নভেম্বর বুধবার এলাকাবাসী ডাকযোগে তহসিলদার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা
(তহসিলদার) রবিউল ইসলামের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের হয়রানি বেড়েছে। এসব কারণে তাকে একবার বদলি করা হলেও সে দেন-দরবার করে তার বদলি আদেশ রোহিত করেছে। উপজেলা প্রশাসনের স্বদিচ্ছা থাকলেও মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম ও দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। তার নানামূখী দূর্নীতিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারির খপ্পড়ে পড়ে প্রতিনিয়ত এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। খারিজ (নামজারি), ভুমি উন্নয়ন কর আদায়, মিস কেস, আরএস বাণিজ্য, খাজনা দাখিল ও সিএস প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে
চরম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এক কথায় কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক ভূমি সংক্রান্ত সব কিছুতেই সাধারণ মানুষকে এখানে টেবিলে টেবিলে আর্থিক শুবিধা দিতে হচ্ছে। আর তা না হলে ফাইল নড়ছে না সামনের দিকে। ভূমি সংক্রান্ত আইন-কানুন না জানার কারণেই মূলত সাধারণ মানুষ তাদের কাছে এমন  হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে দিনের পর দিন জমির নানা রকম সমস্যা ঝুলে আছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কিন্ত্ত মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আর্থিক সুবিধা না দিয়ে নামজারি ও মিস কেসসহ কোনো কাজই করতে পারছেন না সেবাপ্রার্থীরা। অনেক সময় দালাল ও এসব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কারসাজিতে সাধারণ মানুষের সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা হেরফের হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিও বেহাত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
সুত্র জানায়, আর্থিক সুবিধা না দিলে নানা কারণ দেখিয়ে সেবাপ্রার্থীদের দিনের পর দিন হয়রানি করা হয়। সরকারিভাবে নর্ধারিত সময় (৪৫) দিন বেঁধে
দেওয়া হলেও এখানে যথা সময়ে নামজারি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেবাপ্রার্থীরা নামজারি করলেই আর্থিক সুবিধার হাতছানি ! চাওয়া লাগে না এমনিতেই আসে। ভূমি সংক্রান্ত জটিল ও কঠিন নিয়ম কানুন না জানায় এখানে সেবা নিতে আশা অধিকাংশ সেবাপ্রার্থী এক প্রকার বাধ্য হয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্যই বসে থাকেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তানোরের পঁচন্দর ইউপির বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৪৫) বলেন, একটি খারিজ কেসের জন্য তার কাছে থেকে তহসিলদার অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা নিয়েছেন। নাসির উদ্দীন (৩৬) বলেন, তার একটি খারিজ কেস সম্পন্ন করতে তার কাছে থেকে অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা নিয়েছেন তহসিলদার রবিউল। ঝিনাখৈর এলাকার বাচ্চু বলেন, জমিদারি সম্পত্তি খারিজ করে দিয়েছেন তহসিলদার।কিন্ত্ত খারিজ বাতিলের আবেদন করা হলে টাকা নিয়েও এখানো প্রতিবেদন দেয়নি তহসিলদার। তহসিলদার রবিউলের বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) রবিউল ইসলাম  এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ অবৈধ সুবিধা না পেলেই নানা কথা বলে বেড়ায়। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কেউ তার বিরুদ্ধে একটা অনিয়মের প্রমাণ দিতে পারলে তিনি চাকরি করবেন না।
এ জাতীয় আরও খবর
Translate »