1. smsitservice007gmail.com : admin :
এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে ফের প্রোপাগান্ডা হেতু কি ? - সতেজ বার্তা ২৪
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে ফের প্রোপাগান্ডা হেতু কি ?

আলিফ হোসেন, তানোরঃ
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৪৯ বার পঠিত

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, বিলাস ও প্রচার বিমূখ, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি, কর্মী-
জনবান্ধব, আদর্শিক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশস্ত নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে আবারো প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ নির্বাচনের এখানো ঢের বাঁকি। দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো এখানো প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে নীতিগতভাবে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথচ এমপি ফারুক চৌধুরী এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা শতভাগ নিশ্চিত বলে অপপ্রচার ছড়িয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কার স্বার্থে। যারা করছে এরা কারা ? এদের উদ্দেশ্যে কি ? এরা কি এমন গায়েবী ক্ষমতার অধিকারী যে আওয়ামী লীগের মতো দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভার আগেই, কারা মনোনয়ন পাবেন আর কারা পাবেন না সেই খবর নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, দেশে সাধারণ নির্বাচনের মৌসুম আসলেই এই নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো নিয়মে পরিণত হয়ে উঠেছে। কিন্ত্ত কেনো বার বার তার বিরুদ্ধে  মিথ্যা-ভিত্তিহীন-বানোয়াট এবং তার নামের সঙ্গে মানায় না এমন অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হচ্ছে এসব অভিযোগের হেতু কি ? আবার আমজনতা নয় চেনা মূখের চিহ্নিত একটি গোষ্ঠি বার বার এসব অভিযোগ উঙ্খাপন করছে। এমপি ফারুক চৌধূরী প্রায় দুই দশক যাবত বলিষ্ঠ  নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি-জামাতের দুর্গে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার দীর্ঘ এই  রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে একজন সাধারণ মানুষেরও কোনো অবিযোগ নাই। অথচ নির্বাচনের মৌসুম আসলেই
চিহ্নিত একটি বির্তকিত গোষ্ঠী  কোনো সুনিদ্রিস্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ উঙ্খাপন ও প্রোপাগান্ডা শুরু করে। তাহলে দুই দশক আওয়ামী লীগের এসব কথিত শুভাকাঙ্খিরা কোথায় ছিল বা তারা নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে কি এমন উপহার দিল। এই প্রশ্নের উত্তর কি তারা দিতে পারবেন। বিএনপি-জামাতের চোখ রাঙানিতে তারা তো কখানো প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিই দিতে পারেনি। প্রশ্ন হলো এমপি ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগকে যদি  নেতুত্ব দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তো তৃণমূল থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আশার কথা, সেটা না হয়ে বার বার
একই গোষ্ঠির অভিযোগ তাহলে কি আওয়ামী লীগ শুধু এরাই করে এরাই আওয়ামী লীগের ভাল চাই, আর কেউ নেই। যদি সেটা হয় তাহলে তো তারাই আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেন।আবার রাজশাহী বিভাগীয় একটি জেলা শহর এবং জামায়াত-বিএনপির দুর্গ  হিসেবে পরিচিত এখানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিতে হলে নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা-আর্থিক স্বচ্ছলতা, সাহসীকতা-কর্মীবাহিনী, পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি গুনের অধিকারী হতে হবে, যা কেবলমাত্র ফারুক চৌধূরীর রয়েছে। তিনি ব্যতিত তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী গোষ্ঠির
কারো মধ্যে কি এসব গুন রয়েছে বা ফারুক চৌধূরীকে সরিয়ে তার শূণ্য স্থান পুরুণের মতো সক্ষমতা কি কারো মধ্যে রয়েছে, নিশ্চিত সেটা নাই তাহলে কেনো তারা বার বার তার বিরুদ্ধে এসব গায়েবী অভিযোগ উঙ্খাপন করছে তাদের
উদ্দেশ্যে কি ? স্থানীয়রা জানায়, স¤প্রতি একটি গোষ্ঠি ফের এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঙ্খাপন করে তাকে যেনো জেলা সভাপতি করা না হয় সেই দাবি করেছে তবে তার সুনিদ্রিস্ট কোনো ব্যাঙ্খা নাই। তাহলে এটা সেই রকম
নই কি ? বিচার মানি তাল গাছটা আমার। অথচ সভাপতি হবেন সেটা নিশ্চিত হয়েও তিনি স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছেন।
এমপি ফারুক চৌধূরী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আশার পর দল সাংগঠনিকভাবে কি শক্তিশালী হয়েছে না দুর্বল হয়েছে, স্থানীয় নির্বাচনে তিনি কখানো কি নেতা, নেতৃত্ব ও দলের সঙ্গে বেঈমানী করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন, তিনি কখানো কি দলের কোনো দায়িত্বশীল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন, তিনি কখানো কি দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ভূমিদুস্যুতা-জবরদখল, সন্ত্রাসী-লুটপাট, পদবাণিজ্য বা স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য ইত্যাদি করেছেন করেন নাই।
রাজশাহী জামায়াত-বিএনপির দুর্গ তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসতঘর
ফারুক চৌধূরীর নেতৃত্বে হয়েছে। যারা তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের গায়েবী অভিযোগ উঙ্খাপন করছে আওয়ামী লীগে তাদের কি কোনো অবদান রয়েছে কেউ কি বলতে পারবে ?
তৃষমূলের অভিমত, জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের কিছু বিপদগামী,বিতর্কিত ও জনবিচ্ছিন্ন বগী নেতার সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি  এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এসব গায়েবী অভিযোগ উঙ্খাপন
করছে, তাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকারে থাক তবে ফারুক চৌধুরীর মতো
হেভিওয়েট কোনো নেতা যেনো এমপি না থাকে তাহলে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ অর্থ আহরণ করতে তাদের সুবিধা হবে। এদিকে জননন্দিত ও গণমানুষের নেতা এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে আবারো গায়েবী অভিযোগের খবর প্রচার পর এই জনপদের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, এমপি ফরুকের নেতৃত্বেই রাজশাহী জামায়াত-বিএনপির দুর্গ বা
আঁতুড়ঘর ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের
বসতঘরে পরিণত করা হয়েছে। তাছাড়া
এমপি ফারুক চৌধূরী আওয়ামী লীগে আশার আগের ও পরের অবস্থান পর্যালোচনা করলেই বেরিয়ে আসবে তিনি আদর্শিক আওয়ামী লীগ না জামায়াত-বিএনপির প্রশ্রয়দাতা এটার জন্য রাজনীতি বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন
নাই।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের ভাষ্য, এমপি  ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই যত অভিযোগ উঙ্খাপন হয়েছে সবগুলোই ওই একটি চিহ্নিত
গোষ্ঠির। আর এর মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমাণ হয়েছে আসলে এমপি ফারুকের পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজক্ষুন্ন ও সমাজে তাকে হেয়ওপ্রতিপন্ন করতেই তার
বিরুদ্ধে এসব গায়েবী অভিযোগ। ফলে এই জনপদের মানুষ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যারা তার মনোনিত
নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দল, নেতা ও নেতৃত্বের অবমাননা করেছেন
তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন।
স্থানীয়রা বলছে, যারা এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঙ্খাপন করেছেন তাদের মধ্যে নব্য কোটিপতি অনেকের বিরুদ্ধে রাজশাহী শহরে খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, টেন্ডারবাজী, দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক,হাট- ঘাট-মাদক স্পট ও বালুমহাল ইত্যাদি থেকে চাঁদাবাজির কথা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার বা আলোচনা রয়েছে।রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ জাতীয় আরও খবর
Translate »