1. smsitservice007gmail.com : admin :
রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ  - সতেজ বার্তা ২৪
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলা দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও শিব লিঙ্গ বিক্রির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের ডিগবাজি না’কি বিদ্রোহ? সাভারে মাদকের সয়লব , এক নজরে মাদক গ্যাং রাজশাহী আওয়ামী  প্রকাশ্যে বিভক্তির আভাস দায়ী কে ? তানোরে ৩টি পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুন মেধাবী যুবনেতা সাইফুল ইসলাম শাকিল তানোরে প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে দানিয়াল নামের এক যুবককে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা..! তানোরে দোকানের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা

রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৮৪ বার পঠিত

রাজশাহীর দুর্গাপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের  অভিযোগ করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে বলে গুঞ্জন বইছে। দুর্গাপুর পৌরসভার ধরমপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত বাদলের ছেলে রুস্তম আলী বাদি হয়ে পুলিশের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্থানীয়রা জানান, নিহত রুস্তম আলী মৃত্যুর কয়েক দিন পুর্বে  রাজশাহী শহরে তার নিকট আত্নীয়র কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চককৃষ্টপুর মহল্লার মকবুল হোসেনের  তৃতীয় স্ত্রীর পুত্র পুলিশ সদস্য আতাহার আলী তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। কারণ তিনি কিছুদিন পুর্বে পুলিশ সদস্য আতাহারের অবৈধ সম্পদ গড়ে উঠার ঘটনা নিয়ে পুলিশ মহা-পরিদর্শক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের কপি সেই আত্নীয়র হাতে দিয়ে তিনি বলেন যে কোনো সময় এই আতংকে তার মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বরের পুলিশ সদস্য আতাহার আলীর হুমকি-ধমকির প্রেক্ষিতে রুস্তম আলী স্ট্রোক করে মারা যায়। রুস্তম আলীর মৃত্যুর জন্য তার স্বজনের পুলিশ আতাহার আলীকে দায়ি করেছে বলে আলোচনা রয়েছে। সুত্র জানায়, রুস্তম আলীর করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছিল পুলিশ সদস্য আতাহার আলী ২০০৫ সালে জামাত শিবিরের বিশেষ কোঠায় পুলিশ বাহিনীতে যোগদেন। আতাহারের বাবাসহ তিন মায়ের সকল সন্তান জামাত শিবির দল করার কারণে চাকরি পেতে তাকে খুব একটা কাঠ খড়ি পোড়াতে হয়নি।মাদ্রাসায় দাখিল পাশ করা আতাহার আলী কিছুদিন পরেই ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে চলে আসেন। শুরু হয় তার আলাদীনের প্রদীপের মতো অর্থ ছড়ানো। রাজধানী ঢাকায় পালিয়ে বিয়ে করা এক প্রেমিক যুগলের নিকট থেকে সেই নারীকে ছিনিয়ে নিয়ে বিয়ে করে রাজধানী ঢাকাতেই বাস করতে থাকেন সেই নারীকে নিয়ে। সেই নারীর বিয়ে করা বর তাকে ঢাকায়  নিতে গেলে তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এর পর আতাহার আলী পুলিশ বাহিনীতে নিজেকে তুষার নামে পরিচিতি ঘটাতে থাকেন। নামে বেনামে  এলাকায় গড়ে তুলেছেন  অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। পুলিশ কনেষ্টবল থেকে হয়ে যান পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক।রাজধানী ঢাকায় দুটি ফ্লাটের মালিক বনে যান পুলিশের চাকরি করেই। তার গ্রামের বাড়িতে ৫০ লাখ টাকা মুল্যের  তিনটি বাড়ি করেছেন যার মুল্য দেড় কোটি টাকা। জমিক্রয় করেছেন দুই কোটি টাকার ও বেশি। মাছ চাষের জন্য সরকারি নিষেধ অমান্য করে আবাদী জমিতে ক্ষমতার দাপটে  এক কোটি টাকা মুল্যের পুকুর খনন করেছেন। কিনেছিলেন ঢাকা-চাঁপাই রুটে ফারসি নামক  কোচ গাড়ি। কিছুদিন পুর্বে দুদকের ভয়ে বাসসহ শশুর বাড়ির এলাকার কিছু জমি বিক্রয় করে দেন সু চতুর আতাহার আলী। এখন ফারসি নামক ট্রাকসহ রয়েছে তার নিজস্ব দুইটি প্রাইভেট কার গাড়ি। সুত্র বলছে চট্রগ্রামে রয়েছে তার বিলাশ বহুল আবাসিক হোটেল। আতাহারের সম্পদের কোন তথ্য নেই ইনকাম ট্যাক্স এর  নিকট। নেই তার নামে বেনামে ব্যাংক একাউন্টের হিসেব। আতাহারের প্রতিবেশি  মিজানুর রহমান বেলাল হোসেন  বলেন এলাকার মানুষের সহায়তা নিয়ে আতাহারের দাখিল পরিক্ষার ব্যবস্থা হয়েছিল। তিন মায়ের সংসারে ঠিক মত জুটেনি ভাত। হটাৎ তিনি দুর্গাপুর অঞ্চলের টাকা ওয়ালা ব্যক্তিদের একজন। এলাকায় রয়েছে তার বাহিনী যারা আতাহার  বাহিনী হিসেবে পরিচিত। বেলাল হোসেন বলেন কিছুদিন পুর্বে  আতাহারের সঙ্গে হাইচ গাড়িতে ৩ জন মানুষ এসেছিলেন যাদের চলাচল সন্দেহ জনক। তিনি বলেন এই সকল মানুষের সঙ্গে কাউকে কথা পর্যন্ত বলতে দেয়নি আতাহার আলী।  কয়েক ঘন্টা পরে  আবার তাদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাজশাহী অঞ্চলের কিছু জমাত শিবিরের নেতা কর্মীদের আতাহারের  ঢাকার ফ্লাটে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ করেদেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য হটাৎ কিভাবে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক হলেন এমন প্রশ্ন থেকেই অভিযোগ করেছিলেন মৃত রুস্তম আলী। পুলিশের একাধিক সুত্র বলছে এমন রহস্যময়ী পুলিশ সদস্যদের কারণে পুরো পুলিশের বদনাম হচ্ছে। এখনই তাকে লাগাম দিয়ে আইনের আওতায় আনা দরকার। এমন অর্থ কিভাবে করলেন তার সঙ্গে কারা জড়িত সব কিছু খতিয়ে দেখে দ্রুত তার শাস্তি দাবি করেছেন অনেকেই। তার এমন অবৈধ সম্পদের বিষয় এলাকা জুড়ে মানুষের মুখে মুখে  প্রচার থাকলেও তার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না। অর্থ দিয়ে নয়তো ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সকল কিছু বন্ধ করে দেয়। হটাৎ তিনি রহস্যময়ী ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছেন। তার এমন রহস্যময়ী চলাচল যেন সিনেমার গল্পকেও হারমানাতে বসেছে। সরকার দলীয় একজন জৈষ্ঠ নেতা  বলেন তাকে কারা কিভাবে সাহায্য করছে তার সবকিছুর উপর নজর রাখছি আমরা। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আতাহার আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »