1. smsitservice007gmail.com : admin :
রাজশাহীতে সমবায় কর্মকর্তার চাঁদাবাজি অফিস পাড়ায় তোলপাড় - সতেজ বার্তা ২৪
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলা দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও শিব লিঙ্গ বিক্রির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের ডিগবাজি না’কি বিদ্রোহ? সাভারে মাদকের সয়লব , এক নজরে মাদক গ্যাং রাজশাহী আওয়ামী  প্রকাশ্যে বিভক্তির আভাস দায়ী কে ? তানোরে ৩টি পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুন মেধাবী যুবনেতা সাইফুল ইসলাম শাকিল তানোরে প্রবেশপত্র আটকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ফিল্ম স্টাইলে কুপিয়ে দানিয়াল নামের এক যুবককে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা..! তানোরে দোকানের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা

রাজশাহীতে সমবায় কর্মকর্তার চাঁদাবাজি অফিস পাড়ায় তোলপাড়

 তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৬ বার পঠিত

 

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ


রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।  এখবর ছড়িয়ে পড়লে অফিস পাড়ায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ,তিন লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অডিটের নামে ভূয়া প্রতিবেদন দিয়েছেন সমবায় কর্মকর্তা। এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি অচিন্ত কুমার হালদার, সহসভাপতি গোলাম রহমান ও সদস্য অমূল্য চন্দ্র হালদার বাদি হয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এবং জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, বাগমারা উপজেলার  বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে তদন্তের (অডিটের) নামে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দ ওই সমিতির সভাপতি অচিন্ত কুমার হালদার, সহসভাপতি গোলাম রহমান ও সদস্য অমূল্য চন্দ্র হালদারের কাছে  তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। কিন্তু চাঁদার অবশিষ্ট টাকা না দেওয়ায় ওই কর্মকর্তা তার অডিট রিপোর্টে (তদন্ত প্রতিবেদন) সমিতির বিরুদ্ধে ভূয়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন। অডিট রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন- বিভিন্ন সমিতি বা ব্যক্তির নিকট থেকে ডেমির মাধ্যমে এবং বিনা রশিদে অর্ধ কোটি টাকা আদায় করে আত্নসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া সমিতির সাধারণ সভা ১২টি এর পরিবর্তে ৬টি দেখানো হয়েছে। নিয়মিত সমিতির শেয়ার সঞ্চয় আদায় করা হলেও কোনো শেয়ার সঞ্চয় দেখানো হয়নি এবং বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কোনো ব্যক্তি বা সমিতির কাছে সাব লীজ না দিলেও ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে সাব লীজ দেওয়া হয়েছে বলে ওই ভূয়া কথা অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সমবায় কর্মকর্তার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলার মৎস্যজীবীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা সমবায় কর্মকর্তার অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির এক নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ সমবায় কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে তারা আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দ তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করলেও ১০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেই টাকা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে জেলা সমবায় কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »