রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়ন (ইউপি) পুর্ব আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুর রাহিম বলেছেন
রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। ঠিক তেমনি রাজশাহী-১ আসন ধরে রাখতে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় যেমন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন: তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক গণতন্ত্রের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় আওয়ামী লীগের পক্ষে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। আব্দুর রাহিম এই প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে এভাবেই জানালেন আওয়ামী লীগকে নিয়ে তার পরিকল্পনার কিছু কথা। বললেন আওয়ামী লীগকে জ্ঞানভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলায় তিনি আত্ম-
নিয়োগ করবেন। তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌচ্ছে দেয়ার চেষ্টা করবেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন। তার মতে মূখে কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উন্নয়ন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এবং আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নেই প্রশ্নে আপোষহীন সে বিষয়টি সকল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং তা ছড়িয়ে দিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে। বাঙালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে থেকে আমরা কি পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা কেনো আওয়ামী লীগ করি, অন্যদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কি, মানুষ কেনো আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে ও সমর্থন করে-এসব বিষয়ে তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা তথা দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলে তারা দলের প্রতি আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী, বেগবান ও সু-প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগ হলো অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আওয়ামী লীগকে আগামীতেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও যাবে। আওয়ামী লীগ আগামীতে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দলের দূর্দীনে যারা দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছেন তাদের এবং প্রবীণ-ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের আবারো সক্রিয়-মূল্যায়ন করতে হবে এবং আগামিতে নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে তাহলে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাল্লাহ্। আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীনতম, সর্ববৃহত ও জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, এখানে নেতাকর্মীর কোনো অভাব নাই, নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগীতা রয়েছে সেটা ঠিক তবে কখানোই তা যেনো দলীয়কোন্দলে রুপ না পায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মনে রাখতে হবে আমরা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল করি, বাজেই কোনো নেতার ওপর অভিমান করে বা কারো কথায় কস্ট পেয়ে নৌকার বিকল্প ভাবতে পারি না, আমরা আগেও নৌকায় ছিলাম, এখানো আছি এবং আগামিতেও থাকবো সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয়ে কাজ করবো ইনশাল্লাহ্