রাজশাহীর তানোরের সরনজাই বাজারের সাব ডিলার মেসার্স রাজিয়া টেড্রার্সের বিরুদ্ধে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করে বলেন, তিনি কেশরহাট ও সাবাাইহাট এলাকা থেকে চোরা পথে ক্রয় রশিদ বিহীন নিম্নমাণের সার এনে বেশী দামে বিক্রি করছে। এছাাড়া সরনজাই বাজারে
বিএডিসির সার ডিলার মেসার্স সারোয়ার টেড্রার্স গোপণে নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাজিয়া টেড্রার্সে সার বিক্রি করছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সরনজাই
বাজারের মেসার্স রাজিয়া ট্রেডার্সে (এমওপি) ও (ডিএপি) সার এক হাজার ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে
তবে ক্রয় রশিদ দেয়া হচ্ছে না। এদিকে ডিলারদের কাছে সার না পেয়ে কৃষকরা উচ্চ মুল্য দিয়ে এসব সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কালোবাজার থেকে এসব সার নিয়ে এসে অবৈধ ভাবে খোলাবাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিএডিসির সার
ডিলার সারোয়ার বরাদ্দের সার
গোপণে রাজিয়া টেড্রার্সের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।এমনকি তিনি সরনজাই ইউপির ডিলার হলেও তানোর পৌর এলাকার কালীগঞ্জহাটে অবৈধভাবে সার-কীটনাশক বিক্রি করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিএডিসির সার ডিলার সারোয়ার হোসেন সজিব এক ট্রাক ডিএপি এবং এমওপি সার অবৈধভাবে রাজিয়া টেড্রার্সের কাছে বিক্রি করেছে।
সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় এসব ব্যবসায়ীরা সার নিয়ে রীতিমত তুঘলঘি কারবার শুরু করেছে, বিষয়টি যেনো দেখার নাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স রাজিয়া ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী হাজী আজমত আলীর পুত্র গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও সাব ডিলার অথচ বিসিআইসি ডিলারের কাছে থেকে সার পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, তাই বাধ্য হয়ে কৃষি কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে বাইরে থেকে বেশী দামে সার কিনে আনায় দাম একটু বেশী নিচ্ছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নাই।তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে বিএডিসির সার ডিলার সারোয়ার হোসেন সজিব বলেন, কৃষি কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে তিনি সরনজাই ও কালীগঞ্জহাটে ব্যবসা করছেন।