হাতির তান্ডবে রাজশাহীর তানোরে একজন ও চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমনুরা লক্ষীপুরে একজন মোট দু’জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) জুমার পাড়া গ্রামের ললিতের পুত্র রামপদ (৪০) ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা লক্ষীপুর গ্রামের বুলবুলের পুত্র মোবাশশির (১৩)। এ ঘটনার পর থেকে হাতির মাহুত পরাতক রয়েছে। ওদিকে হাতি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।এদিকে প্রতিবেদন তৈরী পর্যন্ত তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন পুলিশ ফোর্স, ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগের কর্মীদের নিয়ে হাতি ধরতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন থেকে তানোর ও আমনুরা এলাকায় একটি হাতি নিয়ে তার মাহুত পথচারীদের কাছে থেকে চাঁদা তুলে আসছিল। এমতাবস্থায় ৬ নভেম্বর বুধবার সকালে হঠাৎ করেই হাতিটি আমনুরা লক্ষীপুর গ্রামের এক কিশোরকে সুড় দিয়ে পেচিয়ে ধরে মাটিতে আছড় দিলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর পরই হাতির মাহুত পালিয় যায়।এর পর মাহুত বিহীন হাতিটি তানোরের বাধাইড় ইউপির ধামধুম এলাকায় তান্ডব শুরু করে। বিকালে হাতিটি আমনুরা থেকে সড়ক দিয়ে তানোরের দিকে আসার সময় ধামধুম নামক স্থানে আরো এক আদিবাসী যুবককে সুড় দিয়ে ধরে মাটিতে আছাড় দিলে ঘটনা স্থলে তারও মৃত্যু হয়।পরে উৎসুখ জনতা ভীড় করলে হাতিটি ধামধুম গ্রামের জঙ্গলে ঢুকে যায়। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, এখনো ঘটনাস্থলে আছি এবং হাতিটি ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।