রাজশাহী তানোরের বাধাঁইড় ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মাঝ দলীয় কোন্দল ও মতবিরোধ প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের একলা চলো নীতি নেতাকর্মীদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অন্যদিকে গত ২৫ অক্টোবর বুধবার
ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সময়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ডাকযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদুক) বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছে এলাকাবাসী।
এছাড়াও ইউপি ভবন ঘিরে ৫১ সদস্যর দালাল সিন্ডিকেটচক্র নিয়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণের মাঝে এসব কোন্দল ও মতবিরোধের সুত্রপাত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, মুক্তার, গনেশ, শাফিউল,শফিকুল, সিরাজুল ও বাচ্চুসহ ৫১ জন দালাল ইউপি ভবন নিয়ন্ত্রণ করে তাদের দৌরাত্ম্যে সদস্যরাও (মেম্বার) অসহায়।
অন্যদিকে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজনের ক্ষমতা খর্ব করতে আতাউর রহমানের নেতৃত্বে তিন চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে পৃথক বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। যা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না। এসব কারণে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে
আতাউর রহমানের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে, প্রকট হয়েছে দলীয়কোন্দল, ভেঙ্গে পড়েছে দলের চেইন অব কমান্ড। আতাউর এখন বাধাঁইড়-এর বিঁষফোঁড়া।
স্থানীয সুত্রে জানা গেছে, গভীর নলকুপ অপারেটর ও খাস জমি বাণিজ্য, ডাসকোর পুকুর খনন, ইজিপি, টিআর-কাবিখা-কাবিটা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতে কমিশন আদায়,করোনাকালীন সময়ে সরকারী সহায়তা বিতরণে নয়ছয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে, অনিয়ম স্বজনপ্রীতির কারণে কাঙ্খিত উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরেজমিন বরাদ্দের বিপরীতে উন্নয়ন কাজের পরিমাণ ও মান তদন্ত করা হলে সত্যতা পাওয়া যাবে। এসব কারণে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ইমেজ সঙ্কটে পড়ে চেয়ারম্যান
আতাউর রহমান। পাশাপাশি তার সঙ্গে তৃণমুল নেতাকর্মীদের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। নানা কারণে দলের সিনিয়র নেতারা তাকে ত্যাগ করেছে, পাশাপাশি তৃণমুলের নেতাকর্মীরাও তাঁর উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এতে চরম সংকটে পড়েছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা বলেন, বহরইল স্কুলে ৩টি, নারায়নপুর স্কুল ২টি, ফজর আলী মোল্লা কলেজে ৩টি, মুন্ডুমালা মহিলা কলেজ ২টি
বৈদ্যপুর মাদরাসায় ১টি ও হাঁপানিয়া
মাদরাসায় ২টি পদের নিয়োগ বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও গত অর্থবছরে এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে বহরইল স্কুলে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও কোনো কাজ না করেই চেয়ারম্যান পুরো টাকা নয়ছয় এবং টিআর প্রকল্পে নারায়নপুর স্কুলে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলে, সেখান থেকে ৪০শতাংশ টাকা কমিশন আদায় করেছে চেয়ারম্যান।এছাড়াও এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে এ বছর বাধাইড় ইউপিতে ৩৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাধাঁইড় ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এসব প্রোপাগান্ডা। তিনি বলেন, যারা এসব করছে তারা কখানো আওয়ামী লীগের ভালো চাইনি, এখানো চাই না।