তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) অনুমোদিত সার ডিলারদের বিরুদ্ধে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এক এলাকার ডিলার অন্য এলাকায় ব্যবসা করায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। অন্যদিকে বরাদ্দের সার বিভাজনে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। বিএডিসির সার নিয়ে চলছে, তুঘলঘি কারবার। বিষয়টি যেনো দেখার কেউ নাই। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিএডিসি অনুমোদিত ডিলারেরা নিজ এলাকার বাইরে ব্যবসা করতে পারবেন না। কেউ যদি করেন তাহলে তার ডিলারসীপ বাতিল হবার কথা। কিন্ত্ত এখানে দীর্ঘদিন যাবত এই নিয়ম কেউ মানছে না। সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন এবং একে অপরকে দোষারোপ করে সার নিয়ে ইঁদুর-বেড়াল খেলায় বাড়ছে বিশৃঙ্খলা কৃষকের হচ্ছে দুর্ভোগ। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত এখোনি এদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আলু ও বোরো মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ নির্বাচনে। জানা গেছে, উপজেলায় বিএডিসির অনুমোদিত ২৩টি সার ডিলার রয়েছে।স্থানীযরা জানান, এর মধ্যে বাধাঁইড় ইউনিয়নের (ইউপি) মেসার্স হাসিনা টেড্রার্স ও জামান টেড্রার্স তারা ব্যবসা করছে মুন্ডুমালা পৌর এলাকায়। তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) ডিলার মেসার্স চৌধুরী ব্যবসা করছে তানোর পৌর সদর। পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) ডিলার মেসার্স সৈয়ব টেড্রার্স ব্যবসা করছেন তানোর পৌর এলকায়। মেসার্স ব্রাদ্রার্স টেড্রার্স কামারগাঁ ইউনিয়নে ব্যবসা করার কথা।কিন্ত্ত ব্যবসা করছেন মান্দার চৌবাড়িয়া হাট। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএডিসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, কে কিভাবে ব্যবসা করছে এটা উপজেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটি দেখবেন, এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নাই। এবিষয়ে মুঠোফোনে কলগ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ বিল্লাল হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেছ।