এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সঠিকভাবে বলেন, আপনারা কত টাকা করে নিতে চান। যে স্যার এই টাকা না হলে আমাদের আসলে চলবে না। আমি আমার দিক থেকে প্রস্তাব করব আপনারা সাড়ে ৫ হাজার করে নেন। আমার এখানে ৪ হাজার দেবেন। আপনারা দেড় হাজার নেবেন।’
এরপর বৈঠকে উপস্থিত ইউনিয়ন পর্যায়ের সব কর্মকর্তা একমত হন দলিলপ্রতি ৬ হাজার টাকা করে নেওয়ার। এ সময় একজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘স্যার ৬ হাজার।’ তখন এসিল্যান্ড বলেন, ৬ হাজার মানে ৬ হাজারই। ৬ হাজার ১০০ টাকা হলে পরবর্তী সময়ে আমি ব্যবস্থা নেব। গত অর্থবছর পর্যন্ত যেগুলো ছিল, সেটা এ সপ্তাহের মধ্যে ক্লিয়ার করবেন। প্রতি মাসের মাস শেষ হওয়ার পর নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হিসাব ক্লোজ করে রোববারের মধ্যে আমাকে হিসাব বুঝিয়ে দেবেন। জুলাই মাস শেষ হলে যত মামলার হিসাব হবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এটাকে ক্লিয়ার করে পরের রোববার উপস্থাপন করবেন। এ সামারি। এ ছাড়া একটা রেজিস্টার রাখবেন। যেটা ইন্টার্নাল ব্যবহারের জন্য।’
নাজিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘অডিওটা শুনেছি, এটা দুঃখজনক। তাদের সঙ্গে এমন কোনো আলোচনা আমার হয়নি। আমি এখানে নতুন এসেছি। খাসজমি উদ্ধারসহ কিছু কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সেই কার্যক্রমগুলো শুরু করতে গিয়ে দেখি যে বিভিন্ন ধরনের রোষানলের শিকার হচ্ছি। অডিওতে এখানে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আছে, এটা কোন জায়গায়, কোন প্রেক্ষিতে করা হয়েছে, এটাও আমি পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। আমি সিনিয়র স্কেল পরীক্ষার জন্য এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। পরীক্ষা দিয়ে আগামী মঙ্গলবার স্টেশনে যাব। গেলে বুঝতে পারব, বিষয়টি কী হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জীব দাশ কালবেলাকে বলেন, ‘এক দিন আগে বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগটি খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘অডিও কথোপকথনটি আমিও শুনেছি। বিষয়টি কী, তা তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।