1. smsitservice007gmail.com : admin :
সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের প্রতারণা !  - সতেজ বার্তা ২৪
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

 রাজশাহী তানোরে থানা পুলিশের হাতে ভুয়া পুলিশ আটক হয়েছে    নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল গোল চত্তর এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের দীর্ঘদিনের ময়লা আবর্জনা অপসারণ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের প্রতারণা ! 

আলিফ হোসেন,তানোর, রাজশাহী:
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২ বার পঠিত

 

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার কালিকাপুর ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সজল ফিসারিজ এর স্বত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে  প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি  সৌখিন মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন বইছে।

স্থানীয়রা জানান, তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবুর দিঘি রয়েছে। সম্প্রতি দীঘিতে টিকিট কেটে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের ব্যাপক প্রচারণা করা হয়। দীঘির চার ৫৮টি চৌকি বসানো হয়। প্রতিটি চৌকির মুল্য ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রায় ২৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অথচ দীঘি থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার মাছ উঠেছ। গত ৮  ও ৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন মাছ শিকার আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর  শুক্রবার ও ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার  বিভিন্ন এলাকার সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মাছ শিকার করতে দিঘিতে হুইল-বড়শী ফেলেন। কিন্ত্ত কেউ বড় মাছ শিকার করতে পারেনি, এমনকি  বেলে ও পুঁটি মাছ হুইলে উঠেছে, অন্য মাছের ওজন সর্বোচ্চ তিন কেজি, ৪০ হাজার টাকার টিকেট কেটে দুদিনে  সর্বোচ্চ ৫ হাজার  মাছ পেয়েছে। অথচ বলা হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়  ও বহিরাগত একাধিক সৌখিন  মৎস্য শিকারী বলেন, মাছ ধরা বা না ধরা কোনো বিষয় না, কিন্ত্ত মাছের যে ওজন তাতে চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কারণ ১০ কেজি ওজনের একটি মাছও যদি কেউ শিকার করতে পারতেন তাহলেও বুঝতাম দিঘিতে বড় মাছ আছে। তারা বলেন,এ ঘটনায় সৌখিন  মৎস্য শিকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, এই দিঘিতে বড় মাছ নাই, তারা সৌখিন মাছ শিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

কারণ সৌখিন মৎস্য শিকারিরা শখের বসে বড় মাছ শিকার করতে টিকেট কেটেছেন, তবে মাছের সাইজ দেখে বোঝা গেছে এটা প্রতারণা। তারা

টিকিটের মুল্য ফেরত ও আয়োজকদের শাস্তির দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাছ শিকারী সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্ত্ত একটি মহল অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এসব অপপ্রচার করছে।#

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »