প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার কথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
১০ দফা বাস্তবায়ন ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার রাজশাহী মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু এ মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাইদ চাঁদ একটু আবেগপ্রবণ। একটা কথা হয়তো তিনি বলে ফেলেছেন। সেটায় অপরাধ হলে আইন দেখবে। কিন্তু তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা তো কোনো অপরাধ করেননি। কেন ভুলে গিয়েছেন আপনাদের অনেক বড় বড় নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চেয়েছেন। ঢাকায় বালুর ট্রাক দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ সরকারের অবৈধ নেত্রী জোর করে চেয়ারে বসে খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার কথা বলেছিলেন। আজকে তাঁর ভাগনে তাপস প্রধান বিচারপতিকে নাকি অপসারণ করেছে। এদের বিচার হয় না কেন। এদের বিচারও হবে একদিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাল, ডাল, তেলসহ সবকিছুর অগ্নিমূল্য। চিনি আজ পাওয়া যায় না। বাচ্চাদের দুধ পাওয়া যায় না। লজ্জা করে না। অতীতে একদলীয় বাকশাল করেছিলেন। আজকে ভিসা নীতির ফলে বিশ্বে কী জবাব দেবে বাংলাদেশের সন্তানেরা। একটি নিকৃষ্ট দেশ হিসেবে পরিণত করেছেন আপনারা। খালেদা জিয়ার আর মুক্তি চাই না। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তাঁকে বের করে আনব। তারেক রহমান সর্বোচ্চ সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরে আসবেন। আর যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, সবার মুক্তি চাই।’
রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে ঘৃণার কাজ করেছেন। কত বড় তালা আবার লাগান। মানুষের শক্তি ওই পদ্মা নদীর স্রোতের মতো। কোনো বালুর বাঁধ টিকবে না।’
আজ বেলা ১১টায় একটি পদযাত্রার মিছিল নগরের ভুবন মোহন পার্ক থেকে শুরু হয়। মিছিলটি সোনাদিঘির মোড় হয়ে মালোপাড়া ফাঁড়ির সামনে দিয়ে পুনরায় ভুবন মোহন পার্কে এসে শেষ হয়।
সমাবেশ ও পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ প্রমুখ।