1. smsitservice007gmail.com : admin :
লালমনিরহাটে সরকারী চাউল কালোবাজারে ক্রয় ও বিক্রয়ের অভিযোগ গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে - সতেজ বার্তা ২৪
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রাপ্ত কেন্দ্র 70 : আজমত উল্লা 29923, জায়েদা খাতুন 33397    ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন

লালমনিরহাটে সরকারী চাউল কালোবাজারে ক্রয় ও বিক্রয়ের অভিযোগ গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মাজাহারুল ইসলাম মামুন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৪ বার পঠিত

মাজাহারুল ইসলাম মামুন,

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে কালোবাজারে চাউল ক্রয় ও বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার ভোর রাতে ওই গুদামে ২ ভ্যান চাউল গোপনে ঢুকানো হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাড়াহুড়া করে তা আবার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম।

 

ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণ মোহন্ত ও মনি বাবু রায় জানান, সরকার ১৫ টাকা কেজি দরে চাউল তালিকা ভুক্ত সুবিধাভোগীদের মাঝে বিক্রয় করে আসছেন। ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম সেই চাউল তার পরিচিত খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা এনামুল হকের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে ক্রয় করেন। সেই চাউল গুলো আবারও প্যাকেটজাত করে মিল মালিকদের ম্যানেজ করে কৌশলে গুদামে ঢুকিয়ে সরকারের কাছে বিক্রি করেন। এতে যা লাভ হয় তা ওই গুদাম কর্মকর্তাসহ এ অনিয়মের সাথে জড়িতরা ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন।

 

মমিদুল ইসলাম নামে অপর এক খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা জানান, প্রায় দিনের ন্যায় রোববার ভোর রাতেও ২ ভ্যান চাউল এনামুলের মাধ্যমে গুদামে ঢুকানো হয়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এ দৃশ্য দেখে ফেলেন এবং ভিডিও করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাড়াহুড়া করে সেই চাউল আবার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা ও চাউল কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত এনামুল হকের সাথে কথা বলেও এ ঘটনার সত্যতা মিলে। ভোর রাতে ওই চাউল গুদামে ঢুকানোর সাথে তিনি জড়িত নয় বলে দাবী করলেও ২ ভ্যান চাউল ঢুকতে তিনি দেখেছেন বলেন জানান। চাউল গুলো কার তা তিনি না জানলেও চাউল গুলো দেখে ১৫ টাকা কেজির সরকারী চাউল বলে জানান।

 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আহেদুল ইসলাম জানান, ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ কালোবাজারে সরকারী চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। আর এসবের প্রতিবাদ করলেই চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেয়। রোববার ভোর রাতে গুদামে চাউল ঢুকানোর বিষয়টি তিনিও শুনেছেন বলে জানান।

 

তবে ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় এক যুবক আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

 

লালমনিরহাট জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভোর রাতে চাউল ঢুকানো বা বের করার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »