1. smsitservice007gmail.com : admin :
মানিকগঞ্জে নানীকে রক্ষায় মৃত্যুরবুক থেকে ঘুরে আসলো হামিদুল, আতঙ্কে পরিবারের সবাই - সতেজ বার্তা ২৪
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রাপ্ত কেন্দ্র 70 : আজমত উল্লা 29923, জায়েদা খাতুন 33397    ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন

মানিকগঞ্জে নানীকে রক্ষায় মৃত্যুরবুক থেকে ঘুরে আসলো হামিদুল, আতঙ্কে পরিবারের সবাই

মাহাবুব আলম তুষার
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৮ বার পঠিত

মানিকগঞ্জে নানীকে রক্ষায় মৃত্যুরবুক থেকে ঘুরে আসলো হামিদুল, আতঙ্কে পরিবারের সবাই ।

মানিকগঞ্জ সদর থানার আটিগ্রাম ইউনিয়নে কুশাভাঙ্গা গ্রামের আর এস দাগ নং- ২৮২ মাত্র ১৫ শতাংশ জায়গা যা, দাদার আমলে ক্রয় কৃত । কিন্তু দখলে আছে অন্য কেউ । মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘদিন যাবত মামলা চলমান। মামলার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে জমি দখলে বারণ করা হয় । তা সত্ত্বেও গত (৩১/০৩/২০২৩) বিকেল আনুমানিক ৪:টায় প্রতিপক্ষ জোর করে শিমুল গাছের তুলা সংগ্রহের লক্ষ্যে ১০-১২ জন একত্র হয়ে জমি দখল করে শিমুল গাছের তোলা সংগ্রহ করতে থাকে । নানি জয়নাব (৫৫) তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ।

বয়স্ক নানি জয়নাব বলেন, ” তাদের কথার উত্তর দিতে গেলেই আমাকে একা পেয়ে সকলে আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে । তাদের জোর গলার গালিগালাজ ও ধর-মারের শব্দ শুনে আমার নাতি হামিদুল (২১) আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে । তখন মিন্টু (৬০)ও আব্দুল কাদের (৭০) স্থানীয় ফরহাদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০) কে আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুকুম দেয় এবং এই জমিনেই আমাদের লাশ পুঁতে ফেলার আদেশ করে । সাথে সাথে নজরুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামিদুলের মাথায় কোপ মারে । হামিদুল রোজা ছিল । এমনিতেই দুর্বল । ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মাথা থেকে ফিটকিনি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে । এ দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই । এরপর ওরা আমার সাথে কি আচরণ করেছে আমি বলতে পারব না ।”

নানা আওলাদ হোসেন (৬৫) বলেন,” হামিদুল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে এবং ওদের হাতে দা, কুড়াল, চাপাতি, শাবল এগুলো দেখে আশেপাশের লোকজনের কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছিল না । আমি আমার মেয়ে, ছোট ছেলের বউ, দুমাস আগে বিয়ে করা হামিদুলের নতুন বউ রানী আক্তার সকলে হামিদুলকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের সকলকে এলোপাথালি ভাবে কিল ঘুসি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারতে থাকে । মারতে মারতে একপর্যায়ে প্রায় আমাদের বিবস্ত্র করে ফেলে । পরে এলাকার সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সরকারি ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে পাঠিয়ে দেয় । নতুন বিবাহিত হামিদুলের মাথা এখন ১৪ টি সেলাই পড়েছে । এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থা । জানিনা পরবর্তী রিপোর্টে কি অবস্থা হয় ।

 থানায় অভিযোগ করেছি । কিছুক্ষণ পর দেখিয়ে ওরাও এ হসপিটালে ভর্তি হয়েছে । কিন্তু আমরা তো ওদের মারার কোনরকম সুযোগও পায়নি । শুনেছি ওরাও আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছে ।

কিন্তু প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলামের শরীরেরও আঘাতের চিহ্ন ও মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায় এবং বাতাসি বেগম (৬০) মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা যায় ।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার জনাব নূরে আলম চেয়ারম্যান কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ” ওই জমি নিয়ে কয়েকবার বিচার সালিশ করা হয়েছে । কোন প্রকার সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর কারণে মামলাও করা হয়েছে ।

কিন্তু , এখন যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে । তা ওই শিমুল গাছকে কেন্দ্র করে । যা সম্পূর্ণ সরকারি জায়গায় গাছটি পড়েছে । উভয়পক্ষ মারামারি করে থানায় মামলা করেছে । এখন কোর্ট যে রায় ঘোষণা করে । তবে, এ অবস্থায় আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ আনলে এমন কঠিন মারামারির বিচার তদন্ত করে কঠিন ভাবে বিচার করতাম ।”

এ জাতীয় আরও খবর
Translate »