মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চারশো বছরের পুরনো খেলার মাঠ ও তিন ফসলি জমির মাটি কাটছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। বাধা দিলেই হুমকি দেয়ার অভিযোগ কৃষকদের। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
ফসলি জমির মাটি কাটছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের ধামশ্বরে তিন ফসলি জমি থেকে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। একই সঙ্গে মাটি খেকোদের হাত থেকে বাদ যায়নি ধামশ্বর বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠ। সরকারি এ খেলার মাঠটিতে টিআর ও কাবিখার অর্থ দিয়ে ভরাট করা হয় গত অর্থ বছরে। বছর যেতে না যেতেই মাটি কেটে উজাড় করা হয়েছে মাঠটি। এখন প্রভাবশালীদের নজর পড়েছে পুরানো ধামশ্বরের খেলার মাঠের দিকে।
চারশো বছরের এ মাঠ ও ফসলি জমি রক্ষায় স্থানীয়রা পালন করেছেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। প্রতিবাদ করলেই স্থানীয় চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের। কৃষকরা জানায়, আমাদের এখানে কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ফসলি জমি কাটছে। এছাড়া ছোট বেলা থেকে খেলাধুলার সেই মাঠও শেষ। আমরা বাধা দিলেই নানান হুমকি দিচ্ছে। তবে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম রাজা বলছেন, মাঠটিতে খেলাধুলার উপযোগী করার জন্য দেয়া হয় টিআর ও কাবিখার অর্থ। সে অর্থ দিয়ে মাঠ ভরাট করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রভাবশালীরা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। এদিকে মাটি কাটার বিষয়ে অস্বীকার করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা পরিষদের দেয়া তথ্য মতে,মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের ধামশ্বর বাজার সংলগ্ন ৭৬ শতাংশ খেলার মাঠ কেটে উজাড় করা হয়। ২০২১ ও ২০২২ অর্থ বছরে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের ৩ লাখের বেশি টাকা দিয়ে মাঠটি ভরাট ও সংস্কার করে উপজেলা প্রশাসন।