
রাজবাড়ীর পদ্মায় বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এ সময় পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সোমবার ২৭/০২/২০২৩ ইং তারিখে বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে পদ্মার পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার আজম মণ্ডল গ্রুপের টিউলিপ (৪৩), ফারুক (৪০), আরিফ (৩২) আরিফুল মারুফ (৩২) ও টুকু মিজি গ্রুপের শরীফুল্লাহ (৩৪)। আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, বেশ কিছু দিন ধরে রাজবাড়ীর পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন ও চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজম মণ্ডল এবং মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুকু মিজির সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদফা গুলি বিনিময় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজম মণ্ডল বলেন, ‘পদ্মা নদী থেকে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকেরা। সোমবার সকালে চেয়ারম্যানের ছেলে জয়ের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।’
মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুকু মিজি বলেন, ‘আজম মণ্ডল যাদের দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন, তাদের টাকা না দেয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এখন আমার ছেলে ও আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা আমার ও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আশাকরছি দ্রুতই পদ্মার চাঁদাবাজি বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।’
সংঘর্ষ, হামলা ও চাঁদাবাজিতে যুক্ত চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।