
স্টাফ রিপোর্টার :
মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
মানিকগঞ্জ সদর থানার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে রাজিবপুর হাই স্কুল অবস্থিত ।
আজ ২৬ শে জানুয়ারি পূর্ণ ধুম ধামের সাথে পালিত হলো সরস্বতী পূজা । দীর্ঘদিন পরে এমন পূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্কুলের হিন্দু ধর্মাবলী শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী খুবই আনন্দিত । এ পূজা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের কমিটি বৃন্দসহ হিন্দু ধর্মাবলিক সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণ । স্কুলের শিক্ষিকা রুমারানি সাহা বলেন, আমরা সকল ধর্মকে সম্মান করি । তবে আমি হিন্দু ধর্মে জন্মেছি বিধায় হিন্দু আমার ধর্ম । ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয় । আমি মনে করি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে শিক্ষা করা প্রত্যেকের জন্যই জরুরী । এই স্কুলের হিন্দু ধর্ম শিক্ষিকা সীমা বালা বলেন, ” সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী । সন্ধি বিচ্ছেদে বিদ্যালয় কে ভাগ করলে হবে (বিদ্যা+আলোয়) । বিদ্যার আলোতেই আজ আমরা ধাপে ধাপে এ অবস্থানে উপনীত হয়েছি । আজকের এ আধুনিকতা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পেছনে বিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম । আমি মনে করি যে প্রতিষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের উচিত স্বরসতী পূজা-অর্চনা শিক্ষা করা তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী । মানুষের আত্মার শান্তি এনে দেয় পূজা অর্চনা । আমার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে সরস্বতী পূজা শিক্ষা দেওয়ায় আমি আনন্দিত এবং গর্বিত ।” স্কুলের সভাপতি
এ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বলেন, ” এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও বিদেশের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে হাজার হাজার গুণীজন । এ কারণে আশেপাশে অনেক স্কুল থাকলেও এই স্কুলটি প্রসিদ্ধ । সরস্বতী পূজা উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও হিন্দু ধর্মাবলি ছাত্র-ছাত্রীদের পূজা শিক্ষার শর্তে স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা যদি সুশিক্ষা নিতে না পারে তাহলে তারা সঠিক শিক্ষা কোথা থেকে পাবে ? সবকিছু বিবেচনা করে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন । হিন্দু ধর্মের এ মহতী অনুষ্ঠান পূর্ণাঙ্গে যারা নিয়োজিত ছিল সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি । এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ এবং অভিভাবক বৃন্দ বিভিন্ন প্রকার উপমা দিয়ে বক্তব্য রাখেন । অতঃপর সকল উপস্থিতিদের মাঝে ফলমূল সহ প্রসাদ বিতরণ করেন ।