
মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
রাজধানীর মগবাজারের একটি পরিত্যক্ত ময়লার ড্রামে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি শক্তিশালী ককটেল থেকে হয়েছে। বিস্ফোরণের ধরন এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত পরীক্ষায় পুলিশ দেখতে পেয়েছে, ওই ড্রামে একটি শক্তিশালী ককটেল রাখা ছিল।মঙ্গলবার ২৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দল।
বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দলের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, ড্রামটি সড়ক বিভাজকের ওপরে ছিল। সেটি একজন সরিয়ে নেয়ার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ধরন এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ড্রামে একটি শক্তিশালী ককটেল রাখা ছিল।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, মগবাজারে বিস্ফোরণ শক্তিশালী বোমা থেকে হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বোমাটি কে বা কারা রেখেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।এর আগে মঙ্গলবার সকালে মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় সড়কে রাখা পরিত্যক্ত ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পথচারীসহ পাঁচজন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিরা হলেন পথচারী সাইদুল ইসলাম (৩৫), আবু কালাম (২৫), মো. শাহিন (৩০), মো. তারেক (২০) এবং কিশোর আতিকুল ইসলাম আকিল (১৫)।সাইদুল ইসলাম মগবাজারে অগ্রণী অ্যাপার্টমেন্টে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। কালাম, শাহীন ও তারেক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ডিপিডিসি) শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় তারা রাস্তার পাশে বালু ফেলার কাজ করছিলেন। আর আতিকুল ইসলাম মালিবাগের একটি ভাঙারির দোকানে কাজ করেন।পুলিশ জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আতিকুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। তিনি সড়ক বিভাজকে থাকা ড্রামটি সংগ্রহ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছিল।