মানিকগঞ্জে জাগীরে যুবুকের ৩লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের পর বিষ পানে হত্যাচেষ্টার ।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত (২১-০১-২০২৩ ইং) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহানুর রহমান (২৫) কে তার গরুর ফার্মের কাছ থেকে জল্লাদ দেহি দুই ভাই ধরে পাশে ফাঁকা রাস্তায় নিয়ে মুখ আটকে জোরপূর্বক সাথে থাকা তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর মারধর করে অজ্ঞান করে মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে চলে যায়, যাতে মৃত হয়ে তাদের নাম প্রকাশ করতে না পারে । এমন অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ সদর থানার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামে । এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদকমীরা তথ্য নিয়ে জানতে পারে, ‘ঐদিন সকালে ওই গ্রামেরই মৃত নকুমুউদ্দিনের ছেলে মোঃ ফিরোজ (৪৫) এর গাড়ির ড্রাইভারের সাথে বাগ বিতর্ক হয়ে একটু হাতাহাতি হয় । এ খবর শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই সোহানুর রহমানের পিতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । ড্রাইভার ভয়ে তার গাড়িকে পিছন দিকে নিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির চ্যাগারের সাথে এক্সিডেন্ট করে । এতে ড্রাইভার রাকিবের পা কেটে যায় এবং তাকে সকলে ধরাধরি করে মানিকগঞ্জ সদর হসপিটালে ভর্তি করে এবং পায়ের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে । এমন ঘটনা গাড়ির মালিক মোঃ ফিরোজের কানে পৌঁছালে তিনি সোহানুর রহমানের পিতার নিকট ড্রাইভার ও গাড়ির ক্ষতিপূরণ দাবি করে । সোহানুরের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬০) মীমাংসার জন্য তাদেরকে ডাকে ।
তারা বসার জন্য রাজিও হয় । কিন্তু মোঃ ফিরোজের বড় ভাই মোঃ কেশা (৫৫) ফন্দী করে পূর্বেই সোয়ানুর রহমানের নামে থানায় অভিযোগ করে আসে । সোয়ানুর রহমান বর্তমানে গ্রামের প্রাথমিক পশু চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত । ঐদিন বিকেলে সোহানুর রহমান পশু চিকিৎসায় বের হলে রাস্তায় ফিরোজের বড় ভাই মোঃ কেশার সাথে দেখা হয় । সোহানুর তাকে দেখামাত্রই সালাম দেয় । সে সালামের উত্তরও নেয়। পরক্ষণেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার মোটরবাইকটি কেড়ে নেয় । রাস্তায় মানুষের সামনে সোহানোর কে মারতে না পেরে রাগে বাইক নিয়েই মোঃ কেশা বাড়িতে চলে যায় । অতঃপর দুই ভাই ফন্দি করে ঐদিন সন্ধ্যায় এমন কর্মকাণ্ড ঘটায় ।
ফিরোজ ও কেশা সোহানুরের দূর সম্পর্কের আত্মীয় । তারা একে অপরের সম্পর্কে আগেই অবগত ছিল । সোহানূরের পিতা পূর্ব থেকেই বিশিষ্ট গরুর ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত । ফিরোজ ও কেশা জানত পিতা রফিকুল ইসলামের একমাত্র পুত্র সোহানুর রহমানের নিকট কখন টাকা থাকে । শাহানুর দৈনিক তার পিতার ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা উত্তোলন করে তার পিতার খামারে নিয়ে যায় । সোহানুরের সাথে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ আন্দাজও করতে পারেনি । সোহানুর এর সাথে এমন ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পরেই শাহনূরের ভাগিনা ওই খামারে পৌছালে এমন দৃশ্য দেখে সে আশেপাশে লোকদের ডাকাডাকি করে সোহানুরকে মানিকগঞ্জ সদর হসপিটালে ভর্তি করে । ভাগ্যের জোরে সোয়ানোর এ যাত্রায় বেঁচে যায় । কিন্তু ভয় এখনো কাটেনি । সোহানুর এর পিতা ছেলের সাথে এমন ঘটনা ঘটার কারণে তাদেরকে ফোন দিলে তারা অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার খামার পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয় । সংবাদ কর্মী ঘটনার পূর্ণ সততা যাচাইয়ের জন্য ফিরোজ ও কেশার বাড়ি পৌঁছালে তারা প্রথমে গা ঢাকা দেয় । পরে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিলে মোঃ কেশা সামনে এসে ঘটনার বিপরীত দাবী করে । মোটর বাইকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করলে তারা তা স্বীকার করে । স্থানীয়দের থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায় মোঃ কেশা এমন মারপিটের ঘটনা অনেক ঘটিয়েছে । এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই সোহেল সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে ,অতি দ্রুত আমরা পদক্ষেপ নেব ।” এলাকার মাজলুম ও সোহানুরের পিতার দাবি অতি সত্বর কেশা ও ফিরোজকে আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক । যাতে তারা কোন নিরীহ লোকের উপর এমন অত্যাচার করতে সাহস না পায় ।