বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন মঞ্চের শীর্ষ নেতা নুরুল হকের গণ-অধিকার পরিষদ। তবে সমাবেশে উপস্থিত হননি মঞ্চের আরেক শীর্ষ নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আজ সরকার-বিরোধীদের যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ সমাবেশ করছে বিরোধীরা।
বিএনপি অন্যান্য দাবির সঙ্গে আজকের সমাবেশকে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস উল্লেখ করে তা যুক্ত করেছে।
গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের অল্প কয়েকজন নেতা-কর্মী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
অসুস্থতার কারণে আ স ম আবদুর রব আজকের সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানানো হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সব দল ও জোট তিনটি কর্মসূচি পালন করে। তিনটি কর্মসূচির কোনোটিতেই গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণ-অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া বা নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন না। এর মধ্যে গণ-অধিকার পরিষদ দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৬ জানুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়নি।
গত বছরের ৮ আগস্ট সাতটি দল ও সংগঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছিল। পাঁচ মাস যেতে না যেতেই নেতৃত্বের বিরোধ থেকে অসন্তোষের কারণে গণতন্ত্র মঞ্চে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিরোধ মূলত গণ-অধিকার পরিষদের সঙ্গে মঞ্চের অন্য দলগুলোর নেতাদের।
গণ-অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের জনবলই বেশি থাকে। অথচ, তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।
১১ জানুয়ারির ‘গণ-অবস্থান’ কর্মসূচি ঘিরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে গণ-অধিকার পরিষদের মনোমালিন্য দৃশ্যমান হয়। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন গণ-অধিকারের সদস্যসচিব নুরুল হক। তিনি কিছুদিন বিদেশে ছিলেন। ঢাকায় পৌঁছেই তিনি কর্মসূচিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্মসূচিস্থলে তাঁর উপস্থিত হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে তা শেষ করে দেওয়া হয়।