সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ হেলিপ্যাডের পাশের জলাশয় থেকে একটি কিশোরের হাত থেকে ছিন্নমূল শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে সৃতিসৌধ প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ধারণা করছে সৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় আসাদুল ইসলাম নামের ১৪ বছরের কিশোর ছেলে শিশুটিকে জলাশয় থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ সময় সাভারের জামসিং এলাকার আজিজুলের ছেলে আসাদুল ইসলামকে (১৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্মৃতিসৌধ পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে মৃত শিশুটির নাম পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিকাল ৫টার দিকে লেকের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পাই। পরে শিশুটিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত শিশুটির সাথে গোসল করতে নামা আসাদুল নামে এক কিশোরের বক্তব্য রহস্যজনক হওয়ায় তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছিলো। আসাদুল প্রথমে নিহত শিশুটিকে তার ছোট ভাই পরিচয় দিয়েছে। তার মা-বাবা কেউ নেই, থাকার জায়গা নাই এসব বিভ্রান্তিকর এলোমেলো দিয়েছে। পরে তার বাবা আসলে আমরা সত্যটা জানতে পারি।
আসাদুলের বাবা আব্দুল আজিজ বলেন, আমার তিন সন্তানের মধ্যে আসাদুল ছোট। সে মাদ্রাসায় পড়ে। তবে সে মানসিক ভাবে অসুস্থ। বিভিন্ন সময় এলাকায় সে মারধর করতো।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, স্মৃতিসৌধ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে লেকের পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিহতের সাথে থাকা আরেক কিশোরেরে দেয়া তথ্য সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসাদুল দুইদিন আগে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। স্মৃতিসৌধ এলাকায় এসেই নিহত শিশুটির সাথে পরিচয় হয়েছিলো তার। তাই নিহতের সঠিক পরিচয় এখনও নিশ্চিত না।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই কিশোর আমাদের হেফাজতেই রয়েছে। এঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।