মো: মাহাবুব আলম তুষার
ঢাকার ধামরাই থানার গাঙ্গুঠিয়া ইউনিয়নের জালসা বড় অমরপুর চকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রয় হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে । যেখানে ত্রি ফসলী চাষের জমিকে নালিতে পরিণত করা হচ্ছে । স্থানীয় পিতা মৃত হক সাহেবের ছেলে মোঃ ফজলুল হক, যিনি পেশায় একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী । তিনি দাবি করেন, এখানে তার পিতার ৬বিঘা ফসলী জমি আছে । যা প্রতিবছর তিনবার চাষ করা হয় । পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালিয়াপাড়া জালসার সুলাইমান ( ৪৫) মোঃ হুমায়ুন (৫০) তারা দুই ভাই ও মোঃ হাসান (৩০) নামের তিনজন ব্যক্তি পূর্ণচককে ডোবায় পরিণত করতে প্রতিবছর জোরজবস্তি ও লোভ দেখিয়ে নিরহ চাষীর থেকে জমির মাটি ক্রয় করে এবং ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় গাড়ি বহরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে । গত (১৩-০১-২০২৩ ইং) সন্ধ্যায় চকে ভেকু নামানো হয় এবং গাড়ির সিরিয়াল দেখা যায়, এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় কৃষকেরা অপরিকল্পিতভাবে জমি কাটা রোধ করতে সেখানে উপস্থিত হয় । খবর পেয়ে জমির মালিক মোঃ ফজলুল হক ও স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক সহ কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে চলে আসে ।
কোনরুপ হট্টগোল ঝাই-ঝামেলা যেন না হয় সেজন্য ভেকু দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করে গাড়ি যাতায়াতের লিক যা তার জমির উপর দিয়ে বয়ে গেছে সেটাকে কেটে দেয়া হয়। এবং সসম্মানে মাটি বহরের গাড়ি কে বিতাড়িত করা হয় । পরিবেশকে শান্ত করে মোঃ ফজলুল হক বাইক যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে বালিয়াপাড়া জালসা জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আনুমানিক ৭-৮ জন ব্যক্তি বাইকের পিছন দিক থেকে টেনে রাস্তায় ফেলে দেয় । মোটর বাইকে ফজলুল হক সহ তার এক প্রতিবেশী বসা ছিল । বাইক থেকে পড়া মাত্রই ফজলুল হক কে লোহার রড, বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে এলো পাথালি মাথা বরাবর বাড়ি শুরু করে । মাথার হেলমেটটি ভেঙ্গে যায় এবং তার চোয়ালে রডের কয়েকটি আঘাত করে যেখানে রক্ত জমাট বাঁধে । মুখ দিয়ে রক্তে বের হয়ে শীতের পোশাক ভিজে যায় । অবস্থা বেগতিক দেখে পিছনে বসা প্রতিবেশী দৌড়ে গ্রামের দিকে ছুটে যায় এবং লোকদের ডাকাডাকি করে । সাথে সাথে গ্রামের লোকেরা ফজলুল হককে উদ্ধার করে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে । রাত আনুমানিক ১১:৩০ এর দিকে ফজলুল হকের ছোট ভাই মোঃ হামিদুল হক ধামরাই থানায় অভিযোগ করে । এ বিষয়ে আসামি হুমায়ুনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোনটি রিসিভ করেনি বরং কেটে দেয় । এক পর্যায়ে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায় । এ বিষয়ে ধামরাই থানায় তথ্য নেওয়ার জন্য গেলে, সেখানে মিলে ব্যতিক্রম এক তথ্য । জানা যায় মোঃ ফজলুল হক অভিযোগ দায়ের করেছে মাত্র একটি, কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দুইটি । অভিযোগে বলা হয় মোঃ ফজলুল হক গাড়ির ড্রাইভারকে প্রচন্ডভাবে মেরেছে এবং ভেকু ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে প্রচন্ডভাবে আঘাত করা হয়েছে । এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশী থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, মূলত ধামরাই থানা পুলিশদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় । শনিবার দুপুর ৪:০০ টায় ধামরাই থানার ওসি সাহেব থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন থানায় উপস্থিত ছিলেন না । তবে সাব ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন জানান, অভিযোগ এসেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসল দোষীদের কে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে ।