স্টাফ রিপোর্টার:
মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
শিগগিরই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন করার কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এ আইন জাতীয় সংসদে তোলা সম্ভব হবে।
সোমবার ০৯/০১/২০২৩ ইং তারিখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল’ পাসের আলোচনায় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী একথা বলেন।
বিলটি পাসের জন্য আইনমন্ত্রী সংসদে উপস্থাপন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বিলটির ওপর আলোচনার সময় গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার দাবি জানান।বিলের আলোচনায় গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এখন উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্যতার কথা বলা থাকলেও যোগ্যতার মানদণ্ড বলা নেই। এ ক্ষেত্রে বিচারক নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন করা হলে নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ থাকবে না। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন হয়েছে। একইভাবে বিচারক নিয়োগেও আইন করা দরকার।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কোনো আইন ছিল না। গত বছর এ আইন হয়েছে এবং আইনের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। একইভাবে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগেও আইন করার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ হয়। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও একই দাবি জানান।
এরপর বিলটির ওপর বক্তব্যের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে সংসদ সদস্যরা আইন করার কথা বলেছেন। ওনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, এ আইনটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছুদিনের মধ্যে সংসদে আনতে পারব। এছাড়া ওনারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন নিয়োগ আইনের কথা বলেছেন, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ আইনটিও ওনারা এই সংসদ চলাকালে দেখতে পাবেন।’
এদিকে সরকার মামলাজট কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং জট কমে আসছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।