
মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
স্টাফ রিপোর্টার
পৃথিবীর সবথেকে বড় বদ্বীপ অংশ হলো বাংলাদেশ এবং সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত হলো বাংলাদেশের কক্সবাজার । বিভিন্ন মৌসুমে বিদেশ থেকে ভ্রমণ পিপাসু অনেক বিদেশী এদেশে পর্যটনের জন্য এসে থাকে । বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসু নাগরিকের সংখ্যাও কম নয় ।

ছবি: বাইক দিয়ে তীরে ঘোরাফেরা করছে পর্যটকরা ।
মানিকগঞ্জ জেলার স্থান বাংলাদেশ মানচিত্রের প্রায় প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত । পাশ দিয়ে আঁচ কেটে বয়ে গেছে পদ্মা ও মেঘনা নদী পাশেই ব্রহ্মপুত্রের কোলাহল । শীতের এ শুকনো মৌসুমে নদীর পাড় যেন এক টুকরো সমুদ্র সৈকত ।
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কাঞ্চনপুরে এমনই দৃশ্য প্রতিয়মান হয় এ শীত মৌসুমী । তথ্য নিয়ে জানা যায়, হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থী এই স্থানে একত্রিত হয় এবং উপভোগ করে বিকালের সূর্য ডোবা মুহূর্ত । এদেরকে কেন্দ্র করে বসেছে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট । নদীর পাড় প্রান্তে বসেছে বিভিন্ন ভাসমান রেস্তোরাঁ । শিশুদের দুষ্টুমি ও কিশোর কিশোরীদের উৎফুল্ল ভাব মুখরিত করে রাখে সারা এলাকা ।
রেস্তোরাঁ গুলো বিভিন্ন দেশি-বিদেশি খাদ্যের আইটেমে ভরপুর । কেউ খাচ্ছে ইন্ডিয়ান আইটেম খাবার কেউ খাচ্ছে চাইনিজ খাবার সব মিলে যা ইচ্ছে তাই । বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উপভোগ করার পর ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্রেন্চ । বাংলাদেশের মানচিত্র রঞ্জিত ব্রেন্সগুলো ঘন্টা প্রতি ত্রিশ টাকা করে ভাড়া গুনে নিচ্ছে । তবুও পর্যটকদের হিড়িক কমছে না । পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক লোকের উপস্থিত দেখা যায় ।

ছবি: ছাতার নিচে চেয়ারে বসে আবহাওয়া উপভোগ করছেন পর্যটকরা ।
কাঞ্চনপুর বাসীদের দাবি, এ অঞ্চলকে পূর্ণ নিরাপত্তার জন্য সরকারি ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করা হোক । যাতে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এখানকার আনন্দ উপভোগ করতে পারে এবং কাঞ্চনপুরের সুনামধন্য ঐতিহ্যকে পূর্ণবহাল রাখতে পারে