আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নগরের চৌহাট্টা স্ট্যান্ডে কথা হয় শাকিল আহমদের সঙ্গে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর বেড়ানোর জন্য তিনি মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে এসেছেন। স্ট্যান্ডে তিনটি মাইক্রোবাস থাকলেও সেগুলো বেশি ভাড়া চাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। শাকিল বলেন, সাদা পাথরে যাতায়াতের জন্য মাইক্রোবাসগুলো ছয় হাজার টাকা চাইছে। অথচ স্বাভাবিক সময় এই পথের ভাড়া ছিল তিন হাজার টাকা।
নগরের মেন্দিবাগ এলাকার স্ট্যান্ডে মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে এসেছেন শাওন আহমেদ। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাফলং বেড়াতে যাবেন। সাধারণ সময়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায় মাইক্রোবাসে জাফলং যাওয়া–আসা করা যায়। তবে আজ সকালে সাড়ে ছয় হাজার টাকার কমে তিনি কোনো মাইক্রোবাস ভাড়া পাচ্ছেন না।
সিলেট শহরতলির তেমুখী স্ট্যান্ডের চালক মানিক আহমদ বলেন, মাইক্রোবাসভাড়া কিছুটা বেড়েছে ঠিক। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় মাইক্রোবাসের চাহিদা বর্তমানে বেশি। তবে অন্য সময়গুলোতে চালকদের স্ট্যান্ডে বসেই সময় কাটাতে হয়। এটা পর্যটন মৌসুম হওয়ায় ভাড়া কিছুটা বেশি চাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সিলেটের হিসাব অনুযায়ী, জেলায় নিবন্ধিত মাইক্রোবাস রয়েছে এক হাজার ৭৭টি। এর বাইরে ঢাকার নিবন্ধিত কতগুলো মাইক্রোবাস সিলেটে চলছে, সেটির হিসাব কারও কাছে নেই।
ভাড়া বেশি আদায়ের বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আহসানুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর এই মৌসুমে সিলেটে পর্যটকেরা বেশি আসেন। তবে মাইক্রোবাসের ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।