স্টাফ রিপোর্টার- মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
বদ্বীপ অংশে মানিকগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের প্রায় প্রাণকেন্দ্রে দৃশ্যমান । ভৌগলিক দিক থেকে বিভিন্ন খাল, বিল, নদী, নালা দ্বারা বেষ্টিত জেলা হচ্ছে মানিকগঞ্জ । এ জেলার লোক প্রচন্ড মেহেনতি ও পরিশ্রমী হয়ে থাকে । সাম্প্রতিক বাংলাদেশ দুর্যোগ সংবাদের মধ্যে ঘনঘটা থেকে থাকলেও মানিকগঞ্জ জেলার মেহনতি লোকের পরিশ্রমের ফল এখন দৃশ্যমান । নিত্য সামগ্রীসহ কৃষি পণ্যের দাম উর্দুগতি হওয়া সত্বেও মানিকগঞ্জের পরিশ্রমী কৃষকগণ নরম হাতে শক্ত জমিতে ফুলিয়েছে সোনালী সুন্দর ফসল ।
মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে মেহনতি কৃষকের ফল প্রাকৃতিক অবলীলায় নজর কেড়ে নেয় যে কোন পথিকের । যেমন হয়েছে শীতকালীন সরিষার ক্ষেত তেমনি ভুট্টা সহ তরি-তরকারির চাষ । এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার জনাব বিপ্লব হোসেন সেলিম সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান,” আমার ইউনিয়নে কৃষকদের ভূমিকা আমার নিকট সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । ইউনিয়নের যত আবাদিভূমি আছে তা এখন ফসলে ভরপুর । কৃষকদের প্রতি সরকারি যত অবদান আছে, তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণতা করার চেষ্টা করি । আমি চাই আমার এলাকার কৃষকগণ একটি ‘ কৃষক আইকন’ হয়ে থাকুক সারা বাংলায় । আমি মনে করি , বাংলার কৃষকরা হলো মুক্তির সোপান ।”
স্থানীয় কৃষকদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, ” এখন চাষবাদ করা অনেকটাই সহজ । কেননা, বর্তমান সরকার কৃষকদের প্রতি যে সহানুভূতি দেখাচ্ছেন তা আমাদের নিকটে অনেকটা আনন্দদায়ক । এখন একশ শতাংশ জায়গা চাষ করা মাত্র ঘণ্টাখানেকের বিষয় । সরকার যে সকল কৃষি প্রযুক্তি আমাদের মাঝে এনে দিয়েছেন, এ দ্বারা চাষবাদ করা আমাদের কাছে এখন আর কষ্ট মনে হয় না । এ মৌসুমে প্রাকৃতিকভাবেই কৃষকদের অনুকূলে । আমরা পরিশ্রম করেছি মহান আল্লাহ সেখানে শস্য দিয়েছেন আমরা এ শস্য দেখে খুবই আনন্দিত । এখন মহান আল্লাহর দরবারে একটি চাওয়া তা হল, আমরা আমাদের কষ্টের অর্জিত এ শস্য যেন সঠিকভাবে ঘরে পৌঁছাতে পারি ।