মোঃ মাহাবুব আলম তুষার
নিজস্ব প্রতিনিধি-
মানিকগঞ্জ এর সিংগাইর উপজেলার কালিয়াকৈর চান্দার মোড় এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিলে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত করে একটি সমবায় সমিতি । যার রেজিস্ট্রেশনে নাম দেয়া হয় ‘গ্রামীণ আলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ । সূচনা লগ্ন থেকেই পূর্ণ প্রশংসার সাথে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা জোগাড় করতে সক্ষম হয় এ প্রতিষ্ঠানটি । প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ সহ যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়মিতই হচ্ছে । কিন্তু, চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সহ বিভিন্ন অপপ্রচারের দাবি করছে কর্তৃপক্ষ । সাম্প্রতিক মুহূর্তে কয়েকজন অর্থ-আত্মসাৎ কারী সদস্য সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে বলে দাবি করছেন সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ আমিনুর ইসলাম । তিনি বলেন, “গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ অনলাইন পোর্টালের একটি নিউজ আমার নজরে পড়ে ।
সেখানে প্রতিষ্ঠান সহ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয় । পরে তথ্য নিয়ে জানতে পারি , স্থানীয় ইদ্রিস নামের ভুয়া ডাক্তার ও অসৎ ব্যবসায়ী, সে সহ চারজন লোকের নাম উল্লেখ করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম রটানোর জন্য এমনটা করেছে । চারজন হল, ১/ইদ্রিস ২/রবিউল ইসলাম (রিটু) ৩/ আমজাদ হোসেন ৪/ নিরঞ্জন চন্দ্র বাড়ই। “
ইদ্রিস সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ” ইদ্রিসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান থেকে কোন চেকের মামলা করা হয়নি । বরং সে ২০১৫ সালে ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল । কিন্তু, কয়েক কিস্তি দিয়েই শেষ । এ পর্যন্ত সে বাকি টাকা আর দেয়নি । এ পর্যন্ত তার ঋণের পরিমাণ যথাযথভাবেই হিসাবে উল্লেখিত । সেই পরিপেক্ষিতে গত ২৮-১১-২০২২ইং খেলাফি ঋণের মামলা করা হয়েছে । মামলা নং সি আর ১০৬৩(সিং) ২০২২ । তাও মামলাটি করেছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সুমন আনোয়ার ।
। প্রাতিষ্ঠানিক মামলার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সে আমার ভালো বন্ধু ছিল । সে অবস্থায় তার কুড়া, ভুসি ব্যবসা ক্ষেত্রে ডিলারশিপ আনতে টাকার প্রয়োজনে আমার থেকে ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ১ মাসের জন্য হাওলাত নেয় । সময় অতিক্রম হওয়ার পর টাকার বিষয়ে তাকে জানালে দিক-বিদিক নাইছাই শুরু করে । অনেক পীড়াপীড়ির পর সে আমাকে একটি লিখিত চেক দেয়। যা ছিল পূর্ণ ধোকা । অতঃপর আমি বিজ্ঞ আদালতে ২৭-০১-২২ ইং একটি চেক ডিজঅনার মামলা করি । মামলা নং সি আর ৮৩ সিং ২০২২ । সে আদালতের চোখে ধূলি দিতে আমার নামে উল্টো একাধিক মিথ্যে মামলা করে । যার মামলা নং সি আর ২৬৪ (সিং) ২০২২ । অতঃপর পিবিআই তদন্ত করলে যা সম্পন্ন মিথ্যা সাব্যস্ত হয় । “
মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (৪৫) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেন । তবে প্রত্যাখ্যান সম্পর্কে তিনি কোন প্রকার ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি । মিথ্যা মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তা স্বীকার করেন ।
রবিউল ইসলাম (রিটু)(৪৬) এর সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি । অতঃপর সরাসরি সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সাক্ষাতে অসম্মতি জানান । তার সম্পর্কে আমিনুর ইসলাম (৩৮) কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ” সে কখনোই এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিল না । সে আমার থেকে ব্যবসায়ী ভিত্তিক হাওলাত নিয়েছিল । এবং আমাকে লিখিত চেক প্রদান করেছিল । অতঃপর ব্যাংকে গিয়ে আমি তা দেখালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেক ডিজঅনার রশিদ প্রদান করেন । অতঃপর আমি মামলা করতে বাধ্য হই যার মামলা নং সিআর ২৮৬ /২০২১ দায়রা মামলা নং ৬৭৮/২০২১ । পরে জানতে পারলাম, ডিজঅনার এর মামলা আমি একাই করিনি । বরং তার বিরুদ্ধে একাধিক চেক ডিজঅনারের মামলা আছে । আমি যতটুকু জানতে পেরেছি , তার মামলা নং ৩২৯ (মা )২০২১ দায়রা মামলা নং ৬১১/২০২১ । শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও বিদ্যমান আছে ।
অতঃপর সেও আমার নামে একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল । যার মামলা নং ৯৭৫ সিং ২০২২ । সেখানে ওই মামলার উল্লেখিত সাক্ষী আদালতে সততা স্বীকার করে । তাহলে বলা যায়, ভালো মানুষ দুনিয়াতে আজও বেঁচে আছে , তাই দুনিয়া চলছে ।”
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত আমজাদ হোসেন ও নিরঞ্জন চন্দ্র বাড়ই কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা সম্প্রতি প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করে ।
গ্রামীন আলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এর সাবেক সভাপতি আমিনুর ইসলাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এমন অপ প্রচার দেখে এখন নিজেকে পূর্ণ নিরাপত্তাহীন মনে হচ্ছে । সরকারের নিকট আমি এর প্রতিকার চাই ।
গ্রামীন আলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এর সদস্য গণের দাবি, অতিসত্বর ভুল আখ্যা এবং মিথ্যা প্রচারকারীর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা না করা গেলে আমাদের মত সমাজ কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠান গুলো অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে । আমাদের দাবি, ভুল সাব্যস্ত কারীদের কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক । যাতে করে কোন আত্মসাৎকারী এমন মিথ্যাচার করতে সাহস না পায় ।