কিষানের তিন শ করতে না পারার আক্ষেপ

আর এত বড় রান তাড়া করার অভ্যস্ততা না থাকায় তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে বাংলাদেশ করেছে মাত্র ১৮২ রান, অলআউট হয়েছে ইনিংসের ১৬ ওভার বাকি থাকতেই। বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।
২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেছে
বাংলাদেশ দল, যা ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় হার। তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জেতায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
ভারতের কথাই ধরি। আইসিসি সুপার লিগের বাইরের এই সিরিজটি ভারত খেলতে এসেছে তাদের মূল অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া। দুজনের বিকল্প হিসেবে আরও দু-একজন অলরাউন্ডার খুঁজে বের করা ছিল এই ওয়ানডে সিরিজে ভারতের মূল উদ্দেশ্য। ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেলকে ছয় ও সাত নম্বরে খেলিয়ে কারণ এটাই।
বাংলাদেশ এমন কিছু অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এই সিরিজ খেলেনি। সিরিজ জয়টাই ছিল বাংলাদেশের কাছে মুখ্য। মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য কীর্তিতে সেটি অর্জনও করেছে। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল, সেটি আগের মতো রয়েই গেছে। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান থেকে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ।
কিষান-ঝড়ের পর চট্টগ্রামে ভাঙল যেসব রেকর্ড

সিরিজের শেষ ম্যাচ যখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, তখন আশা ছিল আরেকটু ভালো ব্যাটিং পারফরম্যান্সের। কিন্তু ব্যাটিং স্বর্গেও নিজেদের মেলে ধরতে পারল না লিটন-সাকিবরা। বিশাল রান তাড়ার চাপে স্বাভাবিক ব্যাটিংটা ভুলে গেছে বাংলাদেশ। অথচ এই উইকেটে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে একাই ২১০ রান করলেন কিষান।
রেকর্ডময় ইনিংসটি এসেছে স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে। কিষানের ফিফটি এসেছে ৪৯ বল। ইনিংসের শুরুতে রয়েসয়ে খেলা কিষানই পরে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামিয়েছেন। তাঁকে যিনি সঙ্গ দিয়েছেন সেই বিরাট কোহলিও করেছেন হিসাবি ব্যাটিং। ৯১ বল খেলে ১১৩ রানের ইনিংসে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ শট ছিল না। ভারতের ৪০৯ রানের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন এই দুজনই। আর এই ব্যাটিং শৃঙ্খলাই খুঁজে পাওয়া গেল না বাংলাদেশ ইনিংসে।