অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ফ্রি কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৮ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন ইভান পেরিসিচ। তবে তাতে মাথা ছোঁয়াতে পারেনি কেউ। এরপর ম্যাচের ১০৯ মিনিটে কর্নার পায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়া। তবে তা ক্লিয়ার করে দেয় ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ১১৪ মিনিটে কর্নার পায় ব্রাজিল। সেখান থেকে শট কর্নার নেয় অ্যান্টোনি। ম্যাচের ১১৫ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। তবে সেখান থেকে বল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। ম্যাচের ১১৭ মিনিটে গোল করে সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়া। বাম দিক বাড়ানো বলে শট করে বল জালে জড়ান ব্রুনো পেটকোভিচ। এরপর আর গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।
টাইব্রেকারের প্রথম শট থেকে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন নিকোলা ভ্লাসিচ। ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম শট নিতে আসেন রদ্রিগো। তার শট রুখে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় শতে গোল করেন লাভরো মাজার। ব্রাজিলের পক্ষে দ্বিতীয় শটে গোল করেন ক্যাসামিরো। এরপর তৃতীয় শটে গোল করে ক্রোয়েশিয়ার ব্যবধান বাড়ান লুকা মড্রিচ।
এরপর ব্রাজিলের পক্ষে গোল করেন পেড্রো। এরপর ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে চতুর্থ শটে গোল করেন মিসলাভ ওরাসিচ। এরপর ব্রাজিলের পক্ষে চতুর্থ শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় মার্কুইনহোস। এর সঙ্গে জয় নিশ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়ার। তারা চলে যায় সেমিফাইনালে। আর বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ব্রাজিলকে। ফলে অধরা থেকে গেলো মিশন হেক্সা।