নরসিংদী রায়পুরায় যৌতুকের টাকার জন্য তানিয়া (২২) নামে এক গৃহবধূর গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে উপজেলা চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের মহিষভেড় পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সে আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মৃত লিটন মিয়ার মেয়ে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলা চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের মহিষভেড় পশ্চিম পাড়া এলাকার মালেক মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩০) নামে এক যৌবকের সাথে ২য় স্ত্রী হিসাবে তানিয়ার পরিবারের সহমতে ৫ থেকে ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। আর ফারুক মিয়া পেশায় ছিলেন টাইস মিস্তিরি। তবে বিয়ের সময় কথা ছিলো কোন প্রকার যৌতুক নেওয়া হবেনা বলে জানান তারা। বিয়ের পর থেকেই তানিয়ার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ তাকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করা হতো। পরে নিহত তানিয়া নির্যাতনের কথা তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার স্বার্থমতো যা পেরেছেন তা দিয়ে গেছেন বলে দাবি করেন নিহতের পরিবার। নিহত তানিয়ার মা বলেন, আমরা গরীব পরিবার বলে ফারুক প্রথম বিয়ে করা স্বত্বেও আমাদের কাছ থেকে যৌতুক নিবেনা বলে আমার মেয়ে তানিয়াকে ২য় স্ত্রী হিসাবে তার কাছে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে বলে আসছে ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য। আর এই টাকা না দিতে পারায় নেশাখোর ফারুক আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে মেরে ঘরের ধন্না সাথে ওড়না গলায় লাগিয়ে সে নিজেকে বাঁচার জন্য আমার মেয়েকে মেরে ফেলেন। তিনি আরোও বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সবার ফাঁসীর দেওয়ার জন্য আইন প্রশাসনের কাছে দাবী জানান। এসময় চরসুবুদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান হাজি নাসির উদ্দীন বলেন, নিহত তানিয়ার পরিবার খুবই গরীব আর মেয়েটি ছিলো খুব ভালো তবে কিসের জন্য সে আত্মহত্যা করেছে সেটা জানা যায় নি এখনো। তবে যদি কোনো কারণে আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে আসামীদের বিচার হওয়া দরকার বলে জানান। এসময় রায়পুরা থানার এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, নিহতের লাশ সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর...
Leave a Reply